প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৩

৮ হাজার বর্গকিলোমিটার পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

অনলাইন ডেস্ক
৮ হাজার বর্গকিলোমিটার পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তাদের সৈন্যরা আট হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। তবে এর অর্ধেক এলাকায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। বাকি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পাল্টা আক্রমণে তারা যেসব এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে সেখান থেকে রুশ বাহিনীকে পুরোপুরি হটাতে অভিযান চলছে। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।

মূলত খারকিভ অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যেসব এলাকাকে স্বাধীন করা হয়েছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে, সেখানে স্বস্তি ফিরে আসার পাশাপাশি রাশিয়ার দখলে থাকার সময় নির্যাতন আর হত্যার নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে। গত কয়েক মাসে যেসব এলাকা রুশ বাহিনী দখল করেছিল সেসব এলাকাকে এখন স্বাধীন বলা হচ্ছে।

নির্যাতনের অভিযোগ
খারকিভ অঞ্চলের বালাকলিয়া শহরের বাসিন্দা আর্টেম বলেন, রুশ বাহিনী তাকে ৪০ দিন ধরে আটকে রেখেছিল এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করেছে। ওই এলাকা গত ছয় মাস ধরে দখল করে রেখেছিল রাশিয়া।সেখানকার পুলিশ স্টেশনকে সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহার করতো তারা।

সেখানেই এসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর্টেম বলেন, অন্যান্য সেল থেকেও তিনি আর্তনাদ শুনতে পেতেন। এখন এসব এলাকায় রুশ বাহিনীর নির্যাতনের নানা তথ্য সংগ্রহ করছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।

পুতিনের প্রতি কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ৯০ মিনিট ধরে চলা একটি টেলিফোন আলাপে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে কূটনৈতিক সমাধান বের করার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ। তিনি রাশিয়াকে পুরোপুরি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার অনুরোধ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক সহায়তা
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে তারা ইউক্রেনের জন্য নতুন একটি সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এর আগেও ইউক্রেনকে অর্থ ও সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। তবে এটা যুদ্ধের পালাবদল ঘটাবে কি না তা এখনি বলা সম্ভব হচ্ছে না।

বিদেশে প্রভাব খাটাতে ৩০ কোটি ডলার ব্যয়ের অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অভিযোগ করেছে, বহির্বিশ্বে প্রভাব তৈরি করতে ২০১৪ সাল থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগ করেছে পররাষ্ট্র দপ্তর।

জো বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আমরা মনে করি, এটা আসল ঘটনার একটি খণ্ডিত চিত্র মাত্র। তবে রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মস্কো এর আগে অনেকবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও বিদেশে প্রভাব বিস্তারের মতো অভিযোগ তুলেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পুরোদমে অভিযানের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তারপর থেকে সংঘাত এখনও চলছেই। এখনও দেশটির এক-পঞ্চমাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে রুশ সেনারা। কিন্তু ইউক্রেনীয় বাহিনীর সফলতার সঙ্গে সঙ্গে রুশ সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে