একদিন বান্ধবীকে বাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। পথিমধ্যে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলায় তীব্র যানজটের মুখে পড়েন তারা। বসে থাকতে থাকতে একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে ওঠেন, আবার ক্ষুধাও লেগেছিল প্রচণ্ড। তাই দুজনে অন্য পথে রওয়ানা দেন এবং একসঙ্গে রাতের খাবার খান। কেবল বন্ধুত্বের সম্পর্কটা বদলে যাওয়ার শুরু সেখান থেকেই। এরপর তিন বছর প্রেম করেছেন চুটিয়ে, তারপর বিয়ে হয়েছে দু’বছর হলো। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি সেই ফ্লাইওভারের কাজ।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনার কথা ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে।

আইটি শিল্পের জন্য পরিচিত শহরটিতে অফিস সময়ে তীব্র যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এ নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু তার মধ্যেই যেন ব্যতিক্রম একজন। কারণ মনের মতো জীবনসঙ্গী পেতে তাকে সাহায্য করেছে এই যানজটই।

এক রেডিট ব্যবহারকারী জানান, বেঙ্গালুরুর সনি ওয়ার্ল্ড সিগন্যালের কাছে হবু স্ত্রীর দেখা পেয়েছিলেন তিনি।

ওই ব্যক্তি বলেন, একদিন আমি তাকে (তখন কেবল বন্ধু হিসেবে চিনতাম) বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলাম। এসময় আমরা এজিপুরা ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের কারণে এক জায়গায় যানজটে আটকা পড়ি। দু’জনেই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম এবং ক্ষুধাও লেগেছিল। তাই ঘুরে অন্য পথে যাই এবং একসঙ্গে রাতের খাবার খাই। এরপর তিন বছর তার সঙ্গে প্রেম করেছি এবং বিয়ে করেছি দু’বছর হলো। কিন্তু সেই আড়াই কিলোমিটার ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি।

রেডিটের ওই পোস্টের একটি স্ক্রিনশট গত ১৮ সেপ্টম্বর টুইটারে শেয়ার করেন এক ব্যবহারকারী। এরপর সেটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।

ওই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই সেই দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, যানজটে নিজেদের দুর্ভোগের কথাও শেয়ার করেছেন কেউ কেউ।
একজন লিখেছেন, বুঝতে পারছি। আমি যতদিন ধরে বেঙ্গালুরুতে আছি, সবসময় ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ চলছে।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন