প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৫১

ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর করতে পুতিন-রাইসির ফোনালাপ

অনলাইন ডেস্ক
ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর করতে পুতিন-রাইসির ফোনালাপ

রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি টেলিফোনে আলাপ করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১২ নভেম্বর) টেলিফোনে এসব বিষয় নিয়ে গুরুতর আলোচনা করেন এই দুই শীর্ষ নেতা। দেশ দুটির সরকার আলাদাভাবে বিবৃতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইব্রাহিম রাইসির আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই দুই নেতা দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করতে কিভাবে সহযোগিতার কাঠামো তৈরি করা যায়, রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ করে পরিবহন ও লজিস্টিক সাপোর্টের ক্ষেত্রে তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার ও ইরানের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত হয়েছেন তারা।

অপরদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য রাশিয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিশেষ করে ইউরেশীয় অঞ্চলে পরিবহনখাতের উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য ইব্রাহিম রাইসির এমন বক্তব্য।

রাইসির উদ্বৃতি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ট্রানজিট রুটটি বিশ্বের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের জন্য একটি আকর্ষণীয় রুট হয়ে উঠবে’।

ইরান সরকারের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শিরাজে একটি শিয়া ধর্মীয় স্থাপনায় হামলায় ১৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এতে আরও বলা হয়েছে, যে কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দাও জানান তিনি।

রাশিয়ার গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, গত বুধবার তেহরানে রাশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তা নিকোলাই পাত্রুশেভ ও ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তা আলী শামখানির মধ্যে একটি বৈঠকের পর এই ফোনালাপের খবর পাওয়া গেলো। ওই বৈঠকে তারা ইউক্রেনের পরিস্থিতি ও তাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ‘পশ্চিমা হস্তক্ষেপ’ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে আলোচনা করেন।

সম্প্রতি ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলায় ইরানের তৈরি ‘কামিকাজে’ ড্রোন ব্যবহার করেছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। যদিও তেহরানের দাবি যুদ্ধের কয়েক মাস আগেই ইরান রাশিয়াকে এই ড্রোন সরবরাহ করে। ইরানের কর্মকর্তারা বলে আসছেন রাশিয়ার সঙ্গে ‘প্রতিরক্ষা’ সহযোগিতা থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ক্রেমলিনকে অস্ত্র সরবরাহ করেনি তেহরান।

এদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ এনে ইরানের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ ছাড়া, ইরানের অভ্যন্তরে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর জেরে এখনও আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে পশ্চিমারা এমন অভিযোগ তেহরানের। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও ইরান সম্পর্ক জোরদারে আরও তৎপর হয়ে উঠেছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে