প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:২৬

খোমেনির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলো ইরানি বিক্ষোভকারীরা

অনলাইন ডেস্ক
খোমেনির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলো ইরানি বিক্ষোভকারীরা

ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বাড়িটির একাংশে আগুন দিতে দেখা গেছে কিছু লোককে। তবে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ এই দাবি অস্বীকার করেছে। খবর বিবিসির।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ইরানের মারকাজি প্রদেশের খোমেইন শহরে ঐতিহাসিক বাড়িটিতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। বার্তা সংস্থা এএফপি, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

জানা হয়, আয়াতুল্লাহ খোমেনি ওই বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটিকে এখন ইরানের প্রতিষ্ঠাতার স্মৃতিচারণমূলক একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা ছিলেন খোমেনি। তিনি দেশটির পশ্চিমাপন্থি নেতা শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্ষমতাচ্যুত করে শরিয়া আইন-ভিত্তিক রাষ্ট্রের সূচনা করেছিলেন, যা আজও বিদ্যমান।

ইরানের প্রথম সুপ্রিম নেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি। ১৯৮৯ সালে মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর দিনটিতে প্রতিবছর শোকদিবস পালন করে ইরান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কয়েক ডজন লোককে খোমেনির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের পর উল্লাস করতে দেখা গেছে। একটি অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ভিডিওটি বৃহস্পতিবার রাতের।

তবে খোমেইন কাউন্টির প্রেস অফিস আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের কাছে কোনো ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করেছে।

সংস্থাটি বলেছে, অল্প কিছু লোক বাড়িটির বাইরে জড়ো হয়েছিল এবং পরে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। খবরে বলা হয়েছে, ‘প্রয়াত ইমামের বাড়ি তীর্থযাত্রী ও ভক্তদের’ জন্য উন্মুক্ত।

মারকাজি প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর বেহনাম নাজারিকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়েছে, কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ইমাম খোমেনির ঐতিহাসিক বাড়ি পুড়িয়ে ফেলা সেই মিথ্যাগুলোর মধ্যে একটি।

ইরানে পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর প্রায় দুই মাস ধরে অস্থিরতা চলছে। বিক্ষোভকারীরা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির উত্তরসূরী আয়াতুল্লা আলী খামেনি ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন।

মাহসার বিরুদ্ধে হিজাব সম্পর্কিত নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিলো ইরানের নীতি পুলিশ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, তার মৃত্যু হয়েছে স্বাস্থ্যগত কারণে। যদিও ওই তরুণীর পরিবার ও বহু ইরানি নাগরিকের বিশ্বাস, পুলিশ হেফাজতে মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মাহসার মৃত্যুর পর ইরানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, ইসলামী বিপ্লবের পর আর এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি দেশটির প্রশাসন।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে