প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:১২

কাতার বিশ্বকাপে ফিফার সবচেয়ে বেশি স্পন্সর চীনের

অনলাইন ডেস্ক
কাতার বিশ্বকাপে ফিফার সবচেয়ে বেশি স্পন্সর চীনের

কাতার বিশ্বকাপে খেলুড়ে দেশ হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়নি চীন। তারপরও এই মহারণের পদে পদে জড়িয়ে রয়েছে তাদের নাম। কারণ, ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি স্পন্সর পেয়েছে ফিফা। এক্ষেত্রে কোকা-কোলা, ম্যাকডোনাল্ডস, বাডউইজারের মতো মার্কিন ব্র্যান্ড তো বটেই, স্বাগতিক কাতারি কোম্পানিগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে চীনারা।

লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক গ্লোবাল ডেটার তথ্যমতে, ২০২২ বিশ্বকাপে ফিফাকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দিচ্ছে চীনা স্পন্সররা। এর পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার। বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ১১০ কোটি মার্কিন ডলার পাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বার্ষিক হিসাব অনুসারে, ফিফায় চীনা স্পন্সরদের অবদান ২০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর কাতারিদের অবদান ১২ কোটি ৪০ লাখ ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর অবদান ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

কাতার বিশ্বকাপে স্পন্সর করা চারটি চীনা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ওয়ান্ডা গ্রুপ, ভিভো, মেংনিউ ডেইরি ও হাইসেন্স। এর মধ্যে ফিফার সাত করপোরেট অংশীদারের একটি ওয়ান্ডা গ্রুপ। এই তালিকায় আরও রয়েছে কোকা-কোলা, আডিডাস, হুন্দাই-কিয়া, কাতার এয়ারওয়েজ, কাতার এনার্জি ও ভিসা।

ওয়ান্ডা গ্রুপ ফিফার সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য ৮৫ কোটি ডলারের চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুসারে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপে সহায়তা দেবে বেইজিংভিত্তিক কোম্পানিটি।

ইলেক্ট্রনিকস কোম্পানি ভিভোর সঙ্গে ফিফার ছয় বছরের চুক্তি রয়েছে। ৪৫ কোটি ডলারের ওই চুক্তিতে ২০১৭ কনফেডারেশনস কাপ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া মঙ্গোলিয়া-ভিত্তিক কোম্পানি মেংনিউ এবং ইলেক্ট্রনিকস কোম্পানি হাইসেন্স ফিফার জন্য যথাক্রমে ছয় কোটি ও সাড়ে তিন কোটি ডলার খরচ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো স্পন্সরশিপ নিয়েছিল চীন। কিন্তু ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেই মোটা অর্থ ব্যয় করে নিজেদের আধিপত্যের জানান দেয় তারা।

রাশিয়া ও কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৪-১৫ সালে স্পন্সরশিপ বাতিল করে সনি, এমিরেটস, জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো ব্র্যান্ডগুলো। কিন্তু এরপর সেই শূন্যস্থান দ্রুত দখল করে নেয় চীনা কোম্পানিগুলো।

চায়না ডেইলর তথ্যমতে, এ বছর কাতার বিশ্বকাপে ফুটবল, জাতীয় পতাকা, ট্রফি, শিং, বাশির মতো যেসব স্যুভেনির পাওয়া যাবে, তার ৬০ শতাংশই তৈরি করেছে চীন।

এমনকি, বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যে বিশাল স্টেডিয়ামে, সেই লুসাইল স্টেডিয়ামও তৈরি করেছে চীনা রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ইন্টারন্যাশনাল। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭৭ কোটি ডলার।

চীনা সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারকে ১০ হাজারের বেশি কন্টেইনার হাউজ সরবরাহ করেছে চীনা কোম্পানিগুলো। এগুলো অতিথিদের থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

সূত্র: আল-জাজিরা, চায়না ডেইলি

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে