প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:১৪

সন্তান হারানোর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়: পুতিন

অনলাইন ডেস্ক
সন্তান হারানোর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়: পুতিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ৯ মাসে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধে রাশিয়ার অনেক সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বহু সেনা। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিহত রুশ সেনা ও যারা যুদ্ধের মাঠে আছেন তাদের মায়েদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, সন্তান হারানোর কষ্ট অন্য কিছু দিয়ে পূরণ হওয়ার নয়।

বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের ব্যথা আমরা অনুভব করতে পারছি।’

এসব অভিভাবকের মধ্যে বেশ কয়েকজন ক্রেমলিনপন্থি আন্দোলনের সদস্য। সমালোচকরা বলছেন, সভার জন্য তাদের সাবধানে বেছে নেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনে পুতিনের আগ্রাসন নিয়ে রাশিয়ায় ক্রমাগত বিরোধিতা বাড়ছে। সেনাদের মায়েদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের ছেলেদের সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের পর্যাপ্ত অস্ত্র দেওয়া হয়নি। এমনকি শীতকালে যুদ্ধ করার মতো পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও দেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলির তথ্যমতে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ লাখ রুশ ও ১ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা হতাহত হয়েছেন।

বৈঠকটি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে আলোচ্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে ওই সব নারীকে পুতিনপন্থি মুভমেন্টের অংশ বলে উল্লেখও করা হয়।

মস্কোর কাছে একটি সরকারি ভবনে শুক্রবারের ওই বৈঠকে ১৭ জন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। তাদের অনেকে কালো স্কার্ফও পরেন। রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিলেন এসব নারী। তাদের মধ্যে একজন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক প্রজাতন্ত্র থেকে গেছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই অঞ্চলটির স্বাধীনতা ঘোষণা করে মস্কো।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং এই যুদ্ধ অস্থিরতা তৈরি করেছে বিশ্ববাজারে। অধিকাংশ দেশে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। যুদ্ধ পরিস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞার ডামাডোলে ইউক্রেন, রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে না পারায় খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে কয়েকটি দেশে। বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও সেই ক্ষোভ সহিংস রুপ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।

সূত্র: বিবিসি

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে