প্রকাশিত : ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১৭:২৪

পোপের সফরের আগে দক্ষিণ সুদানে সহিংসতা, নিহত ২৭

অনলাইন ডেস্ক
পোপের সফরের আগে দক্ষিণ সুদানে সহিংসতা, নিহত ২৭

ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস পোপ ফ্রান্সিসের সফরের একদিন আগে দক্ষিণ সুদানের সেন্ট্রাল ইকুয়েটোরিয়া রাজ্যে গবাদি পশুপালক এবং একটি মিলিশিয়া গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সহিংসতায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

শুক্রবার প্রতিবেশী ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) থেকে সুদানে যাওয়ার কথা রয়েছে পোপের। ২০১৩ সালে তার পোপ হওয়ার পর থেকে সাব-সাহারান আফ্রিকায় এটি তার তৃতীয় সফর, বছরের পর বছর সহিংসতায় বিধ্বস্ত দুটি দেশে শান্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার মিশনে রয়েছেন।

সেন্ট্রাল ইকুয়েটোরিয়া রাজ্যে কাজো-কেজি কাউন্টি কমিশনার ফানুয়েল ডুমো বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা একটি পশুপালক সম্প্রদায়ের ছয়জনকে হত্যা করে। এরপরই পশুপালকরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় ২১ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে প্রতিশোধ নিয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি শিশু এবং একজন গর্ভবতী মহিলা রয়েছে।

ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি, যিনি পোপের সাথে দক্ষিণ সুদানে আসছেন, বলেছেন, সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডে তিনি আতঙ্কিত। তিনি টুইটারে লিখেছেন এটি দক্ষিণ সুদান জুড়ে প্রায়শই শোনা একটি গল্প। আমি আবার একটি ভিন্ন উপায়ের জন্য আবেদন করছি: দক্ষিণ সুদান যাতে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য একত্রিত হয়,

পোপ ফ্রান্সিস শুক্রবার কিনশাসায় কঙ্গোলিজ বিশপদের সাথে বৈঠক এবং বিমানবন্দরে একটি বিদায়ী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে কঙ্গোতে তার সফর শেষ করেছিলেন।

এরআগে বুধবার, তিনি পূর্ব কঙ্গোতে সংঘাতের শিকার সাধারণ মানুষদের সাথে দেখা করেছিলেন। যারা নিকটাত্মীয়দের হত্যার প্রত্যক্ষ করেছিলেন এবং যৌন দাসত্ব, অঙ্গচ্ছেদ এবং জোরপূর্বক নরখাদকের শিকার হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুদানে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধ একটি শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হওয়ার পর গৃহযুদ্ধে অংশ নেয়া প্রধান দলগুলোর মধ্যে সহিংসতা কমে এলেও বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা এখনও অব্যহত রয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে