কম্বোডিয়ায় বিরোধীদলীয় নেতার ২৭ বছর জেল
কম্বোডিয়ায় প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা কেম শোখাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির সাবেক নেতা কেম শোখা নির্বাচন বা ভোটের জন্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতাদের মধ্যে একজন হুন সেন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন।
আগামী জুলাই মাসে কম্বোডিয়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা। অধিকাংশই ধারণা করেন, হুন সেন আবার নির্বাচনে অংশ নেবেন। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন তিনি তার বড় ছেলে হুন মানেতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছেন।
২০১৩ সালে একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। সেখানে ৬৯ বছর বয়সী কেম শোখা বলেছিলেন তিনি মার্কিন গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন। পরে ২০১৭ সালে তাকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়।
তিনি ও তার আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ প্যাট্রিক মারফি বলেন, এ মামলায় আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।
কেম শোখার আইনজীবী আং উদোম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও পশ্চিমা সরকারগুলো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছে।
গত মাসে, হুন সেন সরকার দেশটির স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট ভয়েস অব ডেমোক্রেসি বন্ধ করে দেয়। জানা যায়, এটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তার ছেলেকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং সরকারের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন