প্রকাশিত : ৭ মার্চ, ২০২৩ ১১:৩২

এরদোয়ানকে হটাতে ৬ দলীয় জোট, প্রার্থী ‘তুরস্কের গান্ধী’

অনলাইন ডেস্ক
এরদোয়ানকে হটাতে ৬ দলীয় জোট, প্রার্থী ‘তুরস্কের গান্ধী’

তুরস্কে আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন। এতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন ‘তুরস্কের গান্ধী’ নামে খ্যাত কামাল কিলিকডারোগলু। আসন্ন নির্বাচনে তাকে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে বিরোধী দলগুলো।

তুরস্কের প্রধান ধর্মনিরপেক্ষ মধ্য-বামপন্থি বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) শীর্ষনেতা কামাল কিলিকডারোগলু।

প্রায় দুই দশক ধরে তুরস্কের ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোয়ান। পরবর্তী নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি বদ্ধপরিকর। তবে
দেশটিতে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকট এবং গত মাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও তা মোকাবিলায় অদক্ষতার অভিযোগ বিতর্কের মুখে ফেলেছে তুর্কি সরকারকে। এর ফলে আগের তুলনায় এবারের নির্বাচনে এরদোয়ানের অবস্থান অনেকটাই নড়বড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচনপূর্ব জরিপগুলোতে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

তুরস্কে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি লক্ষ্য করা যায়। তবে এবার এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট বেঁধেছে সমমনা ছয়টি দল। সোমবার (৬ মার্চ) এ জোটের একক প্রার্থী হিসেবে কামাল কিলিকডারোগলুকে মনোনীত করেছে তারা।

৭৪ বছর বয়সী কিলিকডারোগলু আগে সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। শান্তশিষ্ট স্বল্পভাষী স্বভাবের কারণে তাকে অনেক সময় ‘গান্ধী কামাল’ অথবা ‘তুরস্কের গান্ধী’ নামে ডাকা হয়।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রবল শক্তিশালী হলেও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কিলিকডারোগলু। নির্বাচনে জিতলে ঐকমত্য ও পরামর্শের ভিত্তিতে দেশ শাসন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

বিরোধী দলীয় এ নেতা বলেছেন, আমাদের টেবিল শান্তির টেবিল। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য দেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও আনন্দের দিনে নিয়ে যাওয়া।

নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তুরস্কে রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন এরদোয়ান। তবে নির্বাচনে জিতলে দেশটিতে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন কিলিকডারোগলু।

আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক প্রতিষ্ঠিত দল সিএইচপি। দেশটির প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল হলেও ১৯৯০’র দশক থেকে ক্ষমতার বাইরে তারা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্ক। এতে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। ধসে পড়েছে প্রায় দুই লাখ ঘরবাড়ি। ভবন নির্মাণে দুর্নীতির জন্য ক্ষয়ক্ষতি এত বেশি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এ ঘটনায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে এরদোয়ানের সরকার।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে