প্রকাশিত : ৭ মার্চ, ২০২৩ ১১:৩২

মমতার পরিবারে অ্যাডিনোর হানা

অনলাইন ডেস্ক
মমতার পরিবারে অ্যাডিনোর হানা

ভয়ংকর হয়ে ওঠা অ্যাডিনোভাইরাস এবার হানা দিয়েছে খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পরিবারে। পরিবারের এক সদস্য এতে আক্রান্ত হওয়ার কথা সোমবার (৬ মার্চ) নিজেই জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। তবে কে আক্রান্ত হয়েছেন তা পরিষ্কার বলেননি তৃণমূল সুপ্রিমো।

এদিন বিধানসভায় অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকার আর্জি জানিয়েছেন মমতা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের সব হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

দিন যত যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। গত দু’মাসে রাজ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অন্তত ৭৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত দু’দিনে কলকাতার হাসপাতালেই প্রাণ গেছে অন্তত ১০ জনের।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমার পরিবারের সদস্যও অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমি এসব বলে বেড়াই না। বলা হচ্ছে, এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট) নেই। সিপিএমের আমলে জিরো (শূন্য) ছিল। এখন ১৩৮টি হাসপাতালে ২ হাজার ৪৮৬টি এসএনসিইউ রয়েছে।

আতঙ্কের বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিডের পর সামান্য অসুখেই আমরা ভয় পাই। কারণ, সেসময় আমরা আপনজনদের হারিয়েছিলাম। আমি আমার নিজের ভাইকে হারিয়েছি। কোভিডে সময় রাজ্যের যা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ছিল, তার থেকে সেবা আরও বাড়ানো হয়েছে।

সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, আর যেন কারও কষ্ট না হয়, তাই আবার মাস্ক পরুন।

এদিকে, করোনাকালে রাজ্য সরকার যেভাবে আক্রান্ত-মৃত্যুর সঠিক তথ্য জানায়নি, অ্যাডিনোভাইরাসের ক্ষেত্রেও তেমন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এই অবস্থা লুকানোর জন্য মমতা ব্যানার্জী তথ্য গোপন করছেন। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ চোখের সামনে দেখছে কী ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই ভাইরাসে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গজুড়ে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে আড়াই হাজারের বেশি এসএনসিইউ বেড রয়েছে। রয়েছে ৬৫৪টি পিআইসিইউ (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) এবং ১২০টি এনআইসিইউ (নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট) বেড। আর ৭৫টি পিআইসিইউ বেড তৈরি করা হয়েছে বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে (বিসি রায়)। পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালটিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পাঠানো হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে