আতিক-আশরাফের শরীরে মিলেছে ১৪ বুলেট, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

ভারতের উত্তরপ্রদেশের কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদের শরীরে মোট ১৪টি বুলেটের সন্ধান মিলেছে। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার টেলিভিশনে লাইভ চলাকালীন সময়ে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এনডিটিভি জানায়, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে নিহত আতিক আহমেদের শরীরে অন্তত নয়টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রয়াগরাজ হাসপাতালের বাইরে গুলিবিদ্ধ তার ভাই আশরাফ আহমেদের দেহ থেকে পাঁচটি গুলি বের করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, আতিক আহমেদের মাথায় একটি, বুকে ও পিঠে নয়টি গুলি বিদ্ধ হয়। এছাড়া আতিকের ভাই আশরাফের ঘাড়ে, পিঠে, কবজিতে, পেটে এবং কোমরে গুলি লেগেছে। তার দেহের মধ্যে পাওয়া গেছে তিনটি গুলি। বাকি দু’টি গুলি আশরফের শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। মোট ২২ সেকেন্ড ধরে গুলি চালানো হয়।
হত্যাকাণ্ডের সময় সেখানে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল লাইভ চলাকালে আতিক ও তার ভাই হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ভিডিও থেকে দেখা গেছে, আতিক এবং তার ভাই আশরাফ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এমন সময় এক ব্যক্তি তাদের ওপর গুলি চালিয়ে দেয়। প্রথমে আতিক আহমেদের মাথায় গুলি করা হয়। ঠিক তার পরপরই গুলি করা হয় আশরাফ আহমেদকে। গুলিবর্ষণের পর তারা মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। হাজত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে ঘটে এ ঘটনা। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, সম্ভবত একাধিক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল এবং তারা সবাই ছদ্মবেশে এসেছিল।
আতিক আহমেদ উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণসহ শতাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, তিনি বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পাল এবং তার আইনজীবী উমেশ পালকে হত্যা করেছেন।
২০১৯ সালে অপহরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। গত মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, পুলিশের কাছ থেকে তার জীবনের হুমকি রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন