শিগগির এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে চুক্তি হবে : জেলেনস্কি
শিগগির এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।তিনি জানান, কিয়েভকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে প্রস্তুত দেশগুলোর নেতাদের কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী প্রস্তাব পেয়েছেন তারা।
এখন মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির অপেক্ষা শুধু। জেলেনস্কি বলেন, আমাদের অংশীদাররা জানেন যে, আমাদের কতগুলো যুদ্ধবিমান দরকার। আমি ইতোমধ্যেই আমাদের কিছু ইউরোপীয় অংশীদারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আভাস পেয়েছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী প্রস্তাব।
তিনি বলেন, কিয়েভ এখন তার মিত্রদের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত চুক্তির অপেক্ষা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যৌথ চুক্তিও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে কোন দেশগুলোর কাছ থেকে কিয়েভ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সে বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়।
এর আগে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-৭ সম্মলনে বিশ্ব নেতাদের বলেছিলেন যে, ওয়াশিংটন এফ-১৬ বিমানে ইউক্রেনের পাইলটদের জন্য যৌথ সহযোগী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে সমর্থন করে। তবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, ওয়াশিংটন বিমান পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সরবরাহের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে আহ্বান করছেন।
এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় নোভা কাখোভকা বাঁধ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বাঁধ ধসে পড়ায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ সেখান থেকে পালিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ৮০টি শহর ও গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। খবর বিবিসির।
তিনি এই বাঁধ ধ্বংসের ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করেছেন। এর ফলে দিনিপ্রো নদীর পানি বেড়ে গেছে এবং খেরসন শহরে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাশিয়া অবশ্য এই বাঁধ ধসে পড়ার কোনও দায় নিচ্ছে না। বরং, তারা বলছে, ইউক্রেনের গোলার আঘাতে এই বাঁধ ধসে পড়েছে। তবে ইউক্রেন বা রাশিয়া কারও দাবিই যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কাখোভকা বাঁধটি এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই বাঁধ স্থানীয় কৃষক এবং বাসিন্দাদের পাশাপাশি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি সরবরাহ করে। এটি রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়ার দক্ষিণেও পানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল। ডেপুটি প্রসিকিউটর-জেনারেল ভিক্টোরিয়া লিটভিনোভা ইউক্রেনীয় টেলিভিশনের এক ভাষণে বলেন, প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া দরকার।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন