প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২৩ ১৬:৫৮

রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, মস্কোর বিমানবন্দর বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, মস্কোর বিমানবন্দর বন্ধ

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। স্থানীয় সময় রোববার (৩০ জুলাই) মস্কোতে তিনটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওই হামলার কারণে মস্কোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। খবর এএফপির।

মস্কোর উপকণ্ঠ থেকে একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। এছাড়া আরও দুটি ড্রোনও ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এসব ড্রোন হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) দূরে মস্কোর অবস্থান। ইউক্রেনে সংঘাত শুরুর পর থেকে মস্কোকে লক্ষ্য করে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে চলতি বছর সেখানে বেশ কয়েকবার ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার (৩০ জুলাই) ওই হামলা চালানো হয়। এর আগে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাশিয়ার অন্যান্য শহর এবং ক্রেমলিনে হামলার জন্য কিয়েভকেই দায়ী করেছে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে সর্বশেষ ড্রোন হামলার ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলা হয়, ৩০ জুলাই সকালে মস্কোর ওপর মনুষ্যবিহীন আকাশযান দিয়ে কিয়েভ সরকার সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা করেছে। তবে তাদের সেই হামলা ব্যর্থ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের একটি ইউএভি মস্কো অঞ্চলের ওডিনসোভো জেলার ভূখণ্ডে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আকাশেই ধ্বংস করা হয়।

আরও দুটি ড্রোনও ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলো মস্কোর অনাবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরের মেয়র সেরগেই সোবিয়ানিন নিশ্চিত করেছেন যে, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম তাস নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর নুকোভো বিমান বন্দরে সব ধরনের বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই বিমানের ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দর দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে।

এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর সহায়তা ছাড়া কিয়েভের পক্ষে এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব হয়নি। এর আগে গত শুক্রবার রাশিয়া জানায়, তারা ইউক্রেন সীমান্তের কাছে অবস্থিত দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ শহরে দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তাগানরগ শহরে ওই ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে