দুর্গাপূজার অষ্টমী পর্যন্ত কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া ছিল ঝলমলে। কলকাতাবাসী তাই মনের আনন্দে দুর্গাপূজার বিভিন্ন মন্ডপে প্রতিমা দর্শন করছেন। তবে নবমীতে যে কোনো মুহুর্তেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে অষ্টমী অথবা নবমীর দিন থেকে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রপাতসহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে নবমীর সকাল থেকেই আবহাওয়া বদলে যেতে শুরু করে। দুর্গাপূজার মৌসুমেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জারি করেছে কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তর।

পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে যে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে তা ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে চলছে। ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান অবস্থান দিঘার সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নবমী থেকে একাদশী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আলিপুর দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কলকাতাসহ দুই চব্বিশ পরগনা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, নদীয়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়ায় বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নবমীর দিন থেকেই উপকূলে বইতে পারে দমকা বাতাস। ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার।

ইতোমধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর নবমীর দিন থেকে মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করেছে। যারা সাগরে আছেন তাদের সোমবারের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন