ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়ার অজুহাতে গত ৩০ অক্টোবর বুধবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় ৪ টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিলেও বাণিজ্যিক খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়া তৃতীয় কোনো দেশকেও রেহাই দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।
এই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আর্কটিক এলএনজি-২ প্রকল্পে জড়িত থাকায় ভারতের দুই শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়ায়’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার কয়েকটি দেশের কয়েকশ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪শ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এরমধ্যে রাশিয়ার পাশাপাশি চীন, হংকং, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাত গুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’ সূত্র: বাসস