খামেনিকে হত্যার জন্য গুপ্ত তল্লাশি চালিয়েছিল ইসরায়েল, সুযোগ না পেয়ে পিছু হটে: ইসরায়েলি মন্ত্রী

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার জন্য তাকে খুঁজতে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তবে সুযোগ না পাওয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি—এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক লাইভ প্রতিবেদনে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। এর আগে ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন,
“যদি সম্ভব হতো, তাহলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত চলাকালেই খামেনিকে হত্যা করত।”
যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন ছিল?
সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজকে প্রশ্ন করা হয়, এ ধরনের হামলা চালাতে ইসরায়েলের কি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন ছিল?
এর জবাবে তিনি বলেন,
“এ ধরনের সামরিক অভিযানে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।”
ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
ইরানি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েল খামেনিকে হত্যা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন,
“এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালেও তেমন কিছুই ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের জাতি ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছি, ইরানের জনগণের কণ্ঠস্বর এক।”
ট্রাম্পকে কটাক্ষ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পুরোনো মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে খামেনি বলেন,
“ট্রাম্প আমাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জাতির প্রতি এমন আহ্বান অপমানজনক।”
তিনি বলেন,
“ইরানের মতো একটি প্রাচীন ও গৌরবময় জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাটা বড় ধরনের অশালীনতা।”