প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ০৪:৩১

পাকিস্তান ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ৩০৭ ছাড়ালো

চাঁদনী ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তান ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ৩০৭ ছাড়ালো
ছবি- বিবিসি হতে সংগৃহীত

পাকিস্তান এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। দেশটিতে কমপক্ষে ৩০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার ফলে কমপক্ষে ৭৪টি ঘর ধসে গেছে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন এক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে এর পাঁচজন ক্রু মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের। এছাড়া আরও পাঁচজন মারা গেছেন গিলগিট-বালিস্তান অঞ্চলে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইতিমধ্যে কিছু এলাকা দুর্যোগপ্রবণ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুনেরা এলাকার বেঁচে যাওয়া আজিজুল্লাহ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, এমন বন্যা তিনি আগে কখনও দেখেননি। তিনি বলেন, “পানির তোড়ে মাটি ধসে গেছে। মনে হচ্ছে মৃত্যু আমাকে ধরতে বসেছে।” তিনি আরও জানান, পাহাড় ধসে পড়ার শব্দ শুনে পুরো এলাকা ভেঙে গেছে।

খাইবার পাখতুনওয়ার প্রধানমন্ত্রী আলী আমিন গাদাপুর বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বাজাপুরে একটি এম-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রদেশটিতে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত শুক্রবার হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে বন্যার ফলে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন পানির তোড়ে ভেসে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে হয়। এবারের ভূমিধস ও বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা ২৫৫ মিলিয়ন, যার অর্ধেকের বেশি পাঞ্জাবে বসবাস করে। পাঞ্জাবে এবারের বর্ষার বৃষ্টিপাত গত বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া চরমভাবে অপ্রত্যাশিত হচ্ছে, যার ফলে অতিবৃষ্টি ও খরার মতো পরিস্থিতি সাধারণে হয়ে উঠেছে।

উপরে