নিউ জিল্যান্ডে নিহত বাংলাদেশিদের একজন কৃষিবিদ ড. সামাদ
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত দুই বাংলাদেশির একজন হলেন কৃষিবিদ ড. আবদুস সামাদ। তিনি ক্রাইস্টচার্চের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। এর আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রীরও সন্ধান পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত।
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের কনসাল শফিউর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। মিসেস হোসনে আরা ছবি নামে আরেক বাংলাদেশির নিহত হওয়ার খবরও দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া আরো আট বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। এছাড়া তিন-চার বাংলাদেশি নিখোঁজ আছেন বলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজিল্যান্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান চৌধুরী জানান, ওই এলাকায় অনেক বাংলাদেশি থাকেন। তারা ওই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে যান। ঘটনার পর কয়েকজনের খোঁজ মিলছে না বলেও তিনি জানান।
এই হামলা চালিয়েছে নিজেকে ব্রেন্টন টেরেন্ট বলে পরিচয় দেয়া ২৮ বছর বয়সী এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন শহরের অধিবাসী সে। হামলার আগে সে টুইটারে 'দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট' শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি মেনোফেস্টো প্রকাশ করে।
অস্ট্রেলিয়ার কিছু গণমাধ্যম বলছে, ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল সুইডেনের স্টকহোম শহরে ইসলামি জঙ্গিদের ট্রাক চাপায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই নাকি টেরেন্ট এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এই ধারণার পেছনে হামলাকারীর রাইফেল লেখা কিছু শব্দ যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে নিউজ ডট কম এইউ, টাইমস নাও এর মতো মিডিয়াগুলো।
টেরেন্টে যে রাইফেল নিয়ে এই হামলা চালান, সেটার গায়ে কিছু শব্দ লেখা ছিল। হামলার ভিডিওতে যে শব্দগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো, ‘To take revenge for Ebba Akerlund’। এবা আকারলাউন্ড নামের ১২ বছরের সুইডিশ মেয়েটি ছিল শ্রবণ প্রতিবন্ধী। স্কুল থেকে ফেরার পথে সে স্টকহোমের সেই ট্রাকচাপায় সে প্রাণ হারায়। তার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই ক্রাইস্টচার্চে হামলা করে টেরেন্টে। তার রাইফেলের লেখা এবং তার টুইটার অ্যাকাউন্টের বক্তব্য থেকে এই ধারণা করছে গণমাধ্যম।