থাই ভিসা সহজ করার আহবান বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশিদের জন্য থাইল্যান্ডের ভিসা সহজীকরণের আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রচুরসংখ্যক ব্যবসায়ী, ভ্রমণ পিয়াসী ও চিকিৎসা প্রত্যাশী নিয়মিত থাইল্যান্ড ভ্রমণ করছেন, যাদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু থাই ভিসা প্রাপ্তিতে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। তাই ভিসা প্রাপ্তি সহজ ও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য থাই সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।’
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ‘টপ থাই ব্র্যান্ড’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী থাই বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম এবং ঢাকায় থাই দূতাবাসের চার্জ দ্যা আ্যফেয়ার্স কারিচক অরুনপায়রোজকুল বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু দু’দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য ঘাটতি (বাংলাদেশের প্রতিকূলে) এখনও রয়ে গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য নানা ধরনের নীতি সহায়তা প্রদান করছে। পাশাপাশি আমরা ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উন্নতি করছি।এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে থাই ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি অনেকাংশে কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও ভিসা সহজীকরণের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশ এখন বিদেশী বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যে সিয়াম সিয়াম ইন্টারন্যাশনালসহ আরো কয়েকটি থাই কোম্পানী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, দু’দেশ একে অপরের সহযোগি অংশীদার হিসেবে কাজ করলে উভয়ে উভয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
উল্লেখ্য, সিয়াম সিয়াম ইন্টারন্যাশনাল নাফ ট্যুারিজম পার্কে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা করেছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং এই থাই কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
থাই দূতাবাসের চার্জ দ্যা আ্যফেয়ার্স কারিচক অরুনপায়রোজকুল বলেন, থাই সরকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
মেলায় মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।এসব পণ্য ও সেবার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, সৌন্দর্ষ ও সুস্বাস্থ্য পণ্য, বেডিং,স্পা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, স্টেশনারী, গৃহস্থালি পণ্য, তাজা ফল, খাদ্যদ্রব্য, টেক্সটাইল, ফেব্রিক, অন্তর্বাস, হ্যান্ডব্যাগ, অলংকার, শিশুপণ্য, কনফেকশনারী ইত্যাদি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। আগামী ৩০ মার্চ শনিবার মেলা শেষ হবে।