প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০১৯ ১৯:৫৫

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে জাতীয় কমিশন চান ড. কামাল

অনলাইন ডেস্ক
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে জাতীয় কমিশন চান ড. কামাল

আগুন লাগা রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একের পর বহুতল ভবনে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা এড়াতে সরকারের কাছে আমি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। এই কমিশনে ইমারত বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের রাখতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে তদন্ত করে অপরাধীদের বের করতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে হবে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এফআর টাওয়ারে যান ড. কামাল। এ সময় তিনি ভবনটি ঘুরে দেখেন।

কমিটির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, সরকার যে কমিটি তৈরি করবে এতে যেন ইঞ্জিনিয়ার ও বড় মাপের স্থপতি থাকেন। তারা পরামর্শ দেবেন কীভাবে বিল্ডিং তৈরি করার সময় ফায়ার এক্সিট থাকতে হবে। এছাড়া এখন যে বিল্ডিংগুলো আছে সেগুলোর বর্তমান অবস্থাও তারা মূল্যায়ন করবেন।

ড. কামাল বলেন, বিল্ডিং কোড দেখতে হবে, বিল্ডিং প্ল্যান দেখতে হবে। আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা সবই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয়ে গণফোরামের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি, এখানেই থেমে থাকব না। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নকশায় কি ছিল, কারা কীভাবে অনুমোদন দিয়েছে, অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে দিয়েছিল নাকি বুঝে-শুনে দিয়েছে- এক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব রয়েছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। আপনাদের কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা আমাদের দিয়ে সহায়তা করবেন।

এ সময় ভবন নির্মাণের নীতিমালা নিয়ে এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, বিদেশে আইন আছে ১০-১২ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করতে হলে ফায়ার এক্সিট থাকতে হয়। কিন্তু এখানে অবাক হওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটছে, মানুষ মারা গেছে, কিন্তু কোনো ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট ছিল না।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, কিভাবে মানুষ আগুন থেকে বাঁচতে ঝাপ দিয়েছে, দেখলে সহ্য করা যায় না। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল। এখন এ বিষয়ে ভালোভাবে তদন্ত হওয়া দরকার।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর এই টাওয়ারে আগুন লাগে। ভবনের ৯ম তলায় আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন ২৩তলা ভবনের বেশ কয়েকটি তলায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৭টায় আগুন নেভায় ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

উপরে