প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০১৯ ১৯:৪১

'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার মূল চালিকাশক্তি যুবসমাজ'

অনলাইন ডেস্ক
'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার মূল চালিকাশক্তি যুবসমাজ'

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যুবসমাজকেই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সমাজ তথা দেশ গঠনে এ তরুণ সমাজ সর্বদা অগ্রগামী ছিল।

আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে দি কিং অব চিটাগং কমিউনিটি হলে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুবসমাজসহ সকলকে নিয়ে দেশ গঠনের জন্য নেমে পড়েন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর যুবসমাজ দিকহারা হয়েছিল। ফলে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুবসমাজ আবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে।

কৃতি স্নাতকদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, স্বাধীন চিন্তা, সৃজনশীলতার পাশাপাশি শৃঙ্খলা খুব জরুরি। শৃঙ্খলাকে বলা হয় লক্ষ্য ও অর্জনের সিঁড়ি। সবাইকে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অর্জনের পেছনে পিতা-মাতা, শিক্ষকমণ্ডলী, সর্বোপরি দেশের অনেক ত্যাগ ও শ্রম, রয়েছে।

বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে সব সময় শিক্ষার মানের দিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদের জড়িত করতে হবে। এতে তারা সৃজনশীল ও মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষে পরিণত হবে।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও পিসিআইইউ’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আনোয়ার। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

এ বারের সমাবর্তনে ২ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ৭ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ১২ জন শিক্ষার্থীর হাতে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয়।

উপরে