প্রকাশিত : ১ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৩৮

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসুন
অনলাইন ডেস্ক
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিত্তবান ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

আগামীকাল ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি ও তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের কল্যাণে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ ও ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন এবং এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এছাড়াও ১০ম জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮’ অনুমোদন করা হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১০ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ৯০ হাজার জনকে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এর বাইরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সারাদেশে ১০৩টি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের এসব উদ্যোগের ফলে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরো প্রসারিত করবে।

আবদুল হামিদ বলেন, উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেলে অটিস্টিক ব্যক্তিরাও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম। এ জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যথাযথ সমর্থন ও সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। তিনি ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

উপরে