বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিত্তবান ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি ও তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের কল্যাণে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ ও ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন এবং এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এছাড়াও ১০ম জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮’ অনুমোদন করা হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১০ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ৯০ হাজার জনকে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এর বাইরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সারাদেশে ১০৩টি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের এসব উদ্যোগের ফলে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরো প্রসারিত করবে।
আবদুল হামিদ বলেন, উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেলে অটিস্টিক ব্যক্তিরাও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম। এ জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যথাযথ সমর্থন ও সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। তিনি ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।