উত্তরায় বিজিএমইএ’র নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর উত্তরায় তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-র নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভবনটির উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিজেএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী এবং আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী পারভেজ গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন এবং বিজেএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ বিজেএমইএ সদস্যবৃন্দ নির্মাণাধীন বিজেএমইএ ভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে নির্মাণাধীন বিজেএমইএ কমপ্লেক্সের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
বিজেএমইএ সূত্র জানায়, হাতিরঝিল থেকে বিজিএমইএ’র ভবন স্থানান্তর করতে উত্তরার দুটি টাওয়ার বিশিষ্ট ১৩ তলা ভবনটির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এরই মধ্যে বেইসমেন্টসহ ভবনের পাঁচতলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪০ হাজার বর্গফুটের প্রদর্শনী হলসহ ভবনটি তৈরি হচ্ছে রাজধানীর উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে লেকসাইট ভিউয়ের সাড়ে পাঁচ বিঘা জমির ওপর। এখানে বিদ্যুতের জন্য অত্যাধুনিক সোলার প্যানেল, জেনারেটর, বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্ট সিস্টেম, গভীর নলকূপ, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সমৃদ্ধ প্রতিটি ফ্লোর, ৩টি অডিটরিয়াম, সুইমিং পুল, হেলথ ক্লাব, কফি শপ, ক্যাফেটারিয়া-রেষ্টুরেন্ট, ৪০ হাজার বর্গফুটের প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং ২শ’ গাড়ির কার পার্কিংসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
জমির স্বত্ব না থাকা এবং জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজেএমইএ ভবনটি ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগ ওই আবেদন খারিজ করে রায় দেয়। এরপর একাধিকবার সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি স্থানান্তরের বিষয়ে মুচলেকা দেয়া হয় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে।