প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৩৯

মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে খুন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ

অনলাইন ডেস্ক
মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে খুন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ

রাজধানীর ডেমরায় মাদরাসাছাত্র মনির হোসেনকে অপহরণের পর মসজিদের সিঁড়িতেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে মো. আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহা নামে আরো দুজন ছিলেন। এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেন তারা। শুধু তাই নয়, শ্বাসরোধ করে মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন এই হত্যাকারীরা।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে গণমাধ্যমকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন আজ বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রংয়ের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, মৃতদেহের পড়নে থাকা গ্যাবাডিংয়ের ফুল প্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রথমে আব্দুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মনির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মঙ্গলবার রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান ডিসি ফরিদ উদ্দিন।

উপরে