প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:২৮

বিক্ষুব্ধ হকারদের নগর ভবন ঘেরাও

অনলাইন ডেস্ক
বিক্ষুব্ধ হকারদের নগর ভবন ঘেরাও

দাবি আদায়ের প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধের মতো আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আন্দোলনরত হকার নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (নগর ভবন) ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

শাপলা চত্বরের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা, হকার নেতা আবুল কালামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের ডাকে নগর ভবন ঘেরাও করার লক্ষ্যে হকাররা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নগর ভবনের সামনে যাওয়ার সময় গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজারের কাছে পুলিশ ব্যরিকেড তৈরি করে বাধা দেয়। সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাশেম কবীরের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াত্, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিমউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক গোলাপ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ খান, শাহানা আক্তার, মিজানুর রহমান, এম এ খায়ের, সামিরুল ইসলাম প্রমুখ। 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৩ মাস ধরে হকাররা ফুটপাতে বসতে না পেরে অভুক্ত রয়েছে। এরপর আন্দোলনরত হকারদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার এবং মালামাল লুট করে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা চলছে। হকারদের ওপর হামলা-নির্যাতন যত বাড়বে আন্দোলনের তীব্রতাও তত বাড়বে। সরকার ও সিটি করপোরেশন হকার পুনর্বাসনের বিষয়ে সোজা পথে হাঁটতে চাচ্ছে না তাই হকাররা সিটি করপোরেশন, সরকারকে বাধ্য করার জন্য হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দেবে। এই ক্ষুধার্ত হকারদের আওয়াজে নগর ভবন ভেঙে পড়বে বলেও তারা মন্তব্য করেন। 

সমাবেশে সভাপতি আগামী ১৫ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হকার মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। ওই দিন সারা ঢাকা শহর থেকে লাখো হকার সমবেত হয়ে মহাসমাবেশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবে বলেও তিনি জানান। সমাবেশ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মেয়রের সাথে বৈঠক করতে যান। মেয়র উপস্থিত না থাকায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বৈঠক করেন এবং তাদের এ-সংক্রান্ত সুপারিশমালা তুলে ধরেন।

উপরে