গার্মেন্টসকর্মী মাহাবুর হত্যার রহস্য উন্মোচন, চাপাইনবাগঞ্জ থেকে স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
প্রায় দেড় বছর পর আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত মাহাবুর হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানা এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত স্বামী - স্ত্রী কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা। গ্রেফতারকৃত আসামিরা দোষ স্বীকার করে বুধ এবং বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে৷
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন চাপাইনবয়াবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার শরুল্লা গ্রামের রইসুদ্দিনের ছেলে শামীম আক্তার (৩৬) এবং তার স্ত্রী রোমালী বেগম (২৬)।
পোশাক শ্রমিক মৃত মাহাবুর কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার হোকডাংগা দালালপাড়া গ্রামের জাহিদ আলীর পুত্র।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় চার জনকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ৩০, তারিখ- ১৭/১২/২০১৭ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ ধারা।
আজ বৃহস্পতিবার পিবিআই ঢাকা জেলা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার পিবিআই ঢাকা জেলার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) সালেহ ইমরান জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার বাদি ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করলেও তদন্তকালে তাদের কোন সংশ্লিটতা পাওয়া না যাওয়ায় মামলাটি একটি ক্লুলেস মামলায় পরিনত হয়৷ দীর্ঘ তদন্তের পর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতা নিয়ে হত্যাকাণ্ডের সহিত জড়িত উল্লেখিত আসামীদের সনাক্ত করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসামীদের গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়েছে । তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ভিকটিম মৃত মাহাবুর সহ দুই জন সহযোগী নিয়ে মামলার ঘটনার প্রায় মাস খানেক আগে গ্রেফতারকৃত আসামী শামীম আক্তার এর স্ত্রী রোমালী বেগমের সাথে জোর পূর্বক ধর্ষন করে৷
বিষয়টি তার স্বামী শামীম আক্তার জানতে পারলে উভয়েই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুজতে থাকে৷ এক পর্যায়ে মামলার ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩০ মিনটের দিকে আসামী রোমালী বেগম কৌশলে মৃত মাহাবুর কে আশুলিয়া থানার নিশ্চন্তপুর এলাকার আমেনা মসসিদ থেকে অল্প একটু দূরে একটি ঝোপ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা রোমালীর স্বামী শামীম আক্তার এবং রোমালী দুজনেই ভিকটিমকে শ্বাসরুদ্ধ করে এবং সুতা কাটার যন্ত্র দিয়ে গলা, পুরুষাঙ্গ এবং পেটে আঘাত করে হত্যা করে ঐদিনই পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।