প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২০ ০২:২৩

জাতীয় চার নেতার বিদায়ে আইন পরীক্ষা বাদ দিয়েছিলেন সাহারা খাতুন

অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় চার নেতার বিদায়ে আইন পরীক্ষা বাদ দিয়েছিলেন সাহারা খাতুন

অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে এমনভাবে ডুবে গিয়েছিলেন যে জাতীয় চার নেতাকে বিদায় জানানোর জন্য তিনি তার আইন পরীক্ষার একটি বিষয় বাদ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন পরীক্ষা পরও দেয়া যাবে কিন্তু জাতীয় নেতাদের শেষবিদায় জানানোর সুযোগ আর পাওয়া যাবে না। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্য করা হয় এবং ৪ নভেম্বর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩২ নম্বর ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন।

৫ নভেম্বর চার নেতার মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। তার আইন পরীক্ষার একটি বিষয় ৫ নভেম্বর ছিল, তিনি তখন ভাবলেন পরীক্ষা পরও দেয়া যাবে কিন্তু জাতীয় নেতাদের শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ আর পাওয়া যাবে না। সে কারণে ওই বছর আর পরীক্ষা দেয়া হয়নি। এর পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’ (অনার্স) কোর্স শুরু হয়ে যায়। তখন শিক্ষকদের পরামর্শে বিজয়নগরে সেন্ট্রাল ল’ কলেজে ভর্তি হন। আইনপেশায় আসার অদম্য ইচ্ছায় সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনপেশা পরিচালনার সনদপ্রাপ্ত হয়ে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আ্ইনজীবী সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ করেন এবং আইনপেশা শুরু করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানের জুনিয়র হিসেবে। এরপর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনপেশা পরিচালনার সনদ পান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তিনি পরবর্তীতে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন এবং বার কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিট) থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে