প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:০৩

করোনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
করোনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে

জনপ্রশাসন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কে কি বলল, কি লিখল ওইদিকে কান দেবেন না। দিলে কোনো কাজ করতে পারবেন না। আপনার নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে, নিজের ওপর আস্থা থাকতে হবে যে, আপনি সঠিক কাজটি করছেন কি-না? যদি সেই আস্থাটা থাকে, তাহলে সে কাজের ফল দেশবাসী পাবে, দেশের মানুষ পাবে। অনেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে, কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলেই আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেক কিছু সমালোচনা করে। কিন্তু আমি মনে করি যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং সেই সময় তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজগুলো করার দরকার ছিল সেটা যথাযথভাবে করা হয়েছে বলেই আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ আসবে, কিন্তু সেই দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যাতে কোনোরকম বাধাগ্রস্ত না হয় বা গতিশীল থাকে আমরা যে প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দেয়া শুরু করলাম এটা কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের আগে দিতে পারেনি। আমরাই প্রথম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় সাধারণত কিছু দিতে গেলে তো হাত টেনে রাখে, কিপটেমি করে। এবার কিন্তু কিপটেমি করেনি। সবাইকে হাত খুলে যেখানে যেটা দরকার আমরা দিয়েছি। সেভাবে দেয়া হয়েছে বলেই আজকে আমাদের প্রণোদনা প্যাকেজ দিলাম। এ প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল থেকেছে। ডিজিপির প্রায় ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে দিয়েছি। নগদ টাকা দিয়েছি। সরকারি টাকার বাইরে আমি নিজে অর্থ সংগ্রহ করে সহায়তা দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, প্রত্যেকেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অনেক ডাক্তার মারা গেছেন, নার্স মারা গেছেন, স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। তারা কিন্তু সবাই কাজ করেছেন। আমাদের দেশে একশ্রেণির লোক থাকে, তাদের সমালোচনাটা করাই অভ্যাস। পান থেকে চুন খসলে পরে অনেক কথা বলবে, কিন্তু নিজেরা কিছু করবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি তো বেসরকারি টেলিভিশন অনেকগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর আছে বিদ্যুৎ...। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। এরাই একসময় সমালোচনা করেছিল, এখন সেই ডিজিটাল বাংলাদেশেই আমাদের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার তারা চালাতে থাকবে। সেটা বলুক। আমি মনে করি, আমরা সঠিক পথে আছি কি না- এটা নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। সবাই যখন কাজ করবেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে করবেন।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে