প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২১ ২০:০০

শৈত্যপ্রবাহে কাতর পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষগুলো

অনলাইন ডেস্ক
শৈত্যপ্রবাহে কাতর পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষগুলো

হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষগুলো। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে মধ্য মাঘের পর পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলোতে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহে তীব্র হয়েছে শীতের কাঁপন। রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আবহাওয়া অফিসের হিসাব মতে এটি মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ।

শনিবার মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর উত্তরের কনকনে শীতল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় দিনভর তীব্র শীত অনুভূত হয়। বিকেলে সামান্য সময়ের জন্য সূর্যের মূখ দেখা গেলেও কুয়াশার কারণে ছিলনা কোন উত্তাপ। সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল হতে থাকে উত্তরের হিম শীতল বাতাস। মধ্যরাত পর্যন্ত কুয়াশার দেখা না মিললেও শেষ রাত থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। যা অব্যাহত থাকে গতকাল রোববার দুুপুর পর্যন্ত। দুপুরের পর মেঘ কেটে গেলে দেখা মেলে সূর্যের। তেজও ছিল বেশ। বেড়ে যায় তাপমাত্রাও। শবিবার বেলা ৩টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে সেখানে গতকাল রোববার একই সময়ে তারা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও দূর্ভোগ কমেছে শীতার্ত মানুষগুলোর।

শনিবারের মত গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত তীব্র শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর উত্তাপ করতে দেখা গেছে শীতার্ত মানুষগুলোকে। তীব্র শীতে কাজে যেতে না পারায় খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে  শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কনকনে শীতের কারণে গতকাল রোববারও অনেকেই কাজে বের হয়নি।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, শনিবারের পর রোববার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের আলো না থাকা এবং উত্তরের ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। অবশ্য দুপুরের পর থেকে সূর্য দেখা যাওয়ার পর থেকে উত্তাপ বেড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

উপরে