আজকের মধ্যে সব জেলায় পৌঁছে যাবে টিকা
সারা দেশে আজ রবিবারের মধ্যেই পৌঁছে যাচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড। গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে সারা দেশে টিকা (ভ্যাকসিন) সরবরাহ শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত পৌঁছায় ৩৬ জেলায়। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বাকি জেলাগুলোতে টিকা পাঠানো শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. সামসুল হক বলেন, ‘রবিবারের মধ্যে সব জেলায় টিকা পৌঁছে যাচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি ও হচ্ছে না। আগে আমরা দূরের জেলাগুলোতে পাঠিয়েছি। পরে গেছে ঢাকার অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি জেলাগুলোতে।’
এদিকে ঢাকার বাইরে থেকেও টিকাকেন্দ্রিক বিভিন্ন প্রস্তুতির খবর পাওয়া গেছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান জানান, কক্সবাজারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৪ হাজার কভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা। আজ এ টিকা কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এরই মধ্যে যথাযথ নিয়মে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রংপুরে করোনার টিকা পৌঁছবে আজ। প্রথম দফায় রংপুর জেলায় আড়াই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন এসে পৌঁছলে তা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআর স্টোরে রাখা হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায়।
তিনি জানান, রংপুর নগরের ভেতরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ উপজেলাগুলোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এসব টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আরো ডোজ এলে নিয়মমাফিক এসব টিকা দেওয়া হবে।
নরসিংদীতে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের ৭২ হাজার ডোজ টিকা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। গত শুক্রবার বেক্সিমকো ফার্মার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কাভার্ড ভ্যানে করে এসব টিকা নরসিংদীতে আসে। বহুপ্রতীক্ষিত এসব টিকা হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মোট ৭২ হাজার ডোজ টিকা আমরা হাতে পেয়েছি। আগামী ৭-৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা টিকাদান কর্মসূচি শুরু করব।’