‘মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন’
‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন, স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, বিল্ডিং কোড ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ, জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ, গণপরিবহণ কাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সমতা বিধানের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান তথা টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা অনুশীলন প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স, থাই হেলথ, হেলথ ব্রীজ অব কানাডা এবং বাংলাদেশ অ্যান্টি টোবাকো এলাইয়েন্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় প্ল্যানারী সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
এছাড়া প্ল্যানারী সেশনে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন-হ্যাবিটেট এর আরবান ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট পরিকল্পনাবিদ মো. সোহেল রানা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড. মো. শাকিল আক্তার এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ (এনআইএমএইচ) এর শিশু-কিশোর এবং পারিবারিক মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দীন আহমেদ।
প্ল্যানারী সেশনের শুরুতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য নগর পরিকল্পনা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, নগর পরিকল্পনার উদ্ভব হয়েছিলো অষ্টাদশ শতাব্দীতে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত বিপর্যয়ের ফলেঅ তাই জনস্বাস্থ্যের সাথে নগর পরিকল্পনা ঐতিহাসিকভাবে সম্পর্কযুক্ত। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য কেবল স্বাস্থ্যগত ধারণা কিংবা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অবকাঠামোর সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। শহরের সার্বিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার সাথেও সরাসরি যুক্ত।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন