প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১০:৪৯

সরকারি কর্মচারীদের জিপিএফ সুবিধার অস্পষ্টতা দূর হলো

অনলাইন ডেস্ক
সরকারি কর্মচারীদের জিপিএফ সুবিধার অস্পষ্টতা দূর হলো

সরকারি কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) সুবিধার বিষয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রবিধি অনুবিভাগ) খালেদা নাছরিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সুবিধার বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়।

এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীগণ পিআরএল-এ গমনের পর কতদিন পর্যন্ত সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে (জিপিএফ) সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন, অর্থাৎ সর্বোচ্চ কতমাস জিপিএফ-এ অর্থ জমা দিতে পারবেন ও মুনাফা প্রাপ্য হবেন, এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফা প্রাপ্য হবেন কিনা এবং চুক্তিকালীন নতুন করে সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে সুযোগ রয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়াদি পরিষ্কার করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০-এর ২.০৬(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ অবসরে যাওয়ার পরদিন অর্থাৎ পিআরএল শুরুর দিন থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত ভবিষ্যৎ তহবিলের সুবিধা প্রাপ্য হবেন। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট কর্মচারী পিআরএল-এ গমনের পরও ছয় মাস পর্যন্ত সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রচলিত হারে অর্থ জমা দিতে পারবেন। উক্ত সময় পর্যন্ত মোট জমার উপর মুনাফা প্রাপ্য হবেন।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত না হলে যে তারিখে পিআরএল শুরু হতো সে তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রচলিত হারে অর্থ জমা দেয়া যাবে। আর মোট জমার উপর মুনাফা প্রাপ্ত হবেন।

সেই ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মচারী সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল বিধিমালা ১৯৭৯-এর বিধি-৪ (নোট) অনুসরণে স্বেচ্ছাধীন চাঁদাদাতা হিসেবে পুনরায় নতুনভাবে ভবিষ্যৎ তহবিলে যোগদান করতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তহবিলে জমাকৃত অর্থের মুনাফা হিসাবকালে তার পূর্বে জমাকৃত অর্থ বিবেচনা করা হবে না।এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকরিজীবীদের অবসর-উত্তর ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ।

উপরে