প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১০:৫৪

পদ হারালেন চট্টগ্রামের দুই ছাত্রলীগ নেতা

অনলাইন ডেস্ক
পদ হারালেন চট্টগ্রামের দুই ছাত্রলীগ নেতা

সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ১৪ ইউনিটের কমিটি নিয়ে যখন ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, এমন সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা তিন ইউনিটে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন।

১১ ফেব্রুয়ারি রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিতুন মল্লিক ও যুগ্ম-সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেলের স্বাক্ষরে মহসিন কলেজ, বাকলিয়া ও পাহাড়তলী থানায় এসব কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নগর ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিথুন মল্লিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে বহিষ্কার হওয়া নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিথুন মল্লিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেলের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ১৩ ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করেন শাখার সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। এর একদিন পর আরেকটি সংভাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচলাইশ থানার কমিটিও ঘোষণা করেন তারা। কয়েক ঘণ্টার মাথায় আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে নগর ছাত্রলীগের ছয়জন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কথা জানানো হয়। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় তিন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শাখা ছাত্রলীগের ১৪ ইউনিট ও নগর কমিটিতে সদস্য অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়।

নেতাকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এ ঘোষিত কমিটিকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের আগুন ধরেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে। পদবঞ্চিত নেতাদের বিক্ষোভ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোর শিরোনামও হয়েছে বন্দর নগরের ছাত্রলীগ।

হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মায়মুন উদ্দিন মামুন ও আনোয়ার পলাশের অনুসারীরা। তারা সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালানোর পাশাপাশি সভাপতি ইমু ও সাধারণ সম্পাদক দস্তগীরের ছবিতে জুতাপেটাও করেন।

উপরে