প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১০:৫৬

আমেনার হত্যাকারী নজরুলের ফাঁসির দাবি

অনলাইন ডেস্ক
আমেনার হত্যাকারী নজরুলের ফাঁসির দাবি

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পারিবারিক কলহের জেরে আমেনা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী নজরুল মাদবরের (৪২) ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন নিহতর পরিবার এবং ইসলামপুর ইউনিয়নবাসী।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার বুড়িরহাট বাজার সংলগ্ন বুড়িরহাট ব্রিজের ওপর এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।

এসময় নিহত আমেনার ছেলে নয়ন মাদবর, ভাই সুলতান মাদবর, আমিন মাদবর, ভাবি মনোয়ারা বেগম, ইসলামপুর ইউনিয়নের রিয়াদ মাদবর, মজিদ মাদবর, মেম্বার আলতাফ হোসেন ব্যাপারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে আমেনার ভাই সুলতান মাদবর বলেন,
বোনকে বিয়ে দেয়ার পর টাকা খরচ করে (মালয়েশিয়া) বিদেশ পাঠাই খুনি নজরুলকে। বিদেশ যাওয়ার পর সাত বছর বোনকে কোনো খরচ পাঠাননি নজরুল। আমরাই তার খরচ দিতাম। বোনকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতো নজরুল। তাই তিনি বিদেশ থেকে আসার আগে বোনকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, নজরুল বিদেশ থেকে ফিরলে এলাকার মুরব্বি ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে এসে আমেনাকে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো বোনকে। ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হতো। মঙ্গলবার নজরুল ঘরের দরজা বন্ধ করে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আমেনাকে। হত্যাকারী নজরুলকে ফাঁসি দেয়া হোক।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পারিবারিক কলহের জেরে আমেনা বেগম নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী নজরুল ইসলাম মাদবর। ১৫ বছর আগে ইসলামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন মাদবরের ছেলে নজরুল ইসলাম মাদবরের সঙ্গে একই ইউনিয়নের গঙ্গেসকাঠি গ্রামের মৃত আজিদ আলী মাদবরের মেয়ে আমেনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের নয়ন মাদবর নামে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে হত্যাকাণ্ডের সময় নজরুল ইসলামের একতলা ভবনের কক্ষে তার স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিল না। এ সুযোগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আমেনাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ফেসবুক লাইভে আসেন নজরুল। এক পর্যায়ে তাকে গাইতে শোনা যায়, ‘আমার খাইয়া, আমার পইরা ডুব দিছে ভাই অন্যজনরে’।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম আশরাফুজ্জামান জানান, হত্যাকারী স্বামী নজরুলকে ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যায় ব্যবহৃত ধাঁরালো কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নিহত আমেনার ভাই মো. সুলতান মাদবর বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় মামলা করেন। মামলা রুজুর ছয় ঘণ্টার মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে।

উপরে