প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১১:০০

বাবা-মা যার নামটাও রাখেননি সেই সুন্দরীই আজ সংসার চালান

অনলাইন ডেস্ক
বাবা-মা যার নামটাও রাখেননি সেই সুন্দরীই আজ সংসার চালান

প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়ায় মা-বাবা তার নামটি পর্যন্ত রাখেননি। পাড়ার লোকেরা ডাকেন সুন্দরী বলে। কিন্তু সেই সুন্দরীই বাবার মৃত্যুর পর অভাবে ভেসে যাওয়া সংসারের হাল ধরেছেন শক্ত হাতে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মেয়ে সুন্দরী।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পশ্চিম ভৈরব নগরের জগদীশ বরের মেয়ে সুন্দরী বর (৩১)। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান সুখময় বাইন তাকে একটি ছাগল দেন। সেই ছাগল পালন করে আজ স্বাবলম্বী সুন্দরী। তার এখন ২০-২২টি ছাগল আছে। ছাগল বিক্রি করে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী অনায়াসে কিনতে পারেন কারো কাছে হাত না পাতা আত্মসম্মানের অধিকারী এই মানুষটি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিবন্ধী ভাতা ও ছাগল পালন করে সংসারে থাকা একমাত্র বৃদ্ধ মাকে নিয়ে তিনি যেভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তা সবার কাছে অনুকরণীয়।

সুন্দরী বলেন, সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে তিনি ছাগলের খামার করতে পারবেন, যা তার অনেক দিনের স্বপ্ন।সংসার করতে সাধ হয় কি না জানতে চাইলে সুন্দরী বলেন, স্বামীর সংসার করতে কার ইচ্ছে করে না? কিন্তু কোনো দিন কেউ তাকে বিয়ের জন্য দেখতেও আসেনি।

কথাটা বলার সময় অজান্তের চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছিল সুন্দরীর।উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মানব রঞ্জন বলেন, আমরা তার মাকে বিধবা ভাতা প্রদান করে আসছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে তার বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছি। সে সত্যিই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

সুন্দরীর এলাকার সাধারণ জনগণ মনে করেন, একজন প্রতিবন্ধী নারী হয়ে সুন্দরী যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা সবার কাছে অনুকরণীয়। ভবিষ্যতে অনেক মানুষকে তা অনুকরণে আগ্রহী করে তুলবে।

উপরে