পদ্মা পারের অপেক্ষায় ৯ শতাধিক যানবাহন
টানা তিনদিনের সরকারি ছুটি শেষে ঢাকা ও আটরশি ওরশমুখী যাত্রীদের চাপে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
যানজট এড়াতে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরের গোয়ালন্দের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাড়ক ব্যবহার করায় সেখানেও প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়ক ও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনদিন সরকারি ছুটি শেষে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পায় দৌলতদিয়ায়। দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থেকে অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে পাঁয়ে হেটে বা রিকশায় লঞ্চ ও ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
ঢাকামুখী যাত্রীরা জানান, রাত থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে আটকে আছেন। এখন সকাল ৯টা বাজলেও ফেরির দেখা পাননি। কখন ফেরিতে উঠবেন সেটাও বলতে পারছেন না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. মাহবুব হোসেন বলেন, রোববার দুপুরের আগে থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায়। আজও সে চাপ রয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। এখন ছোট গাড়ির তেমন চাপ নেই।
এ রুটে বর্তমানে ছোট বড় ১৬টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন