প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১০:১৬

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চরম ভোগান্তি যাত্রীদের

অনলাইন ডেস্ক
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চরম ভোগান্তি যাত্রীদের

রাত পৌনে দশটা। রাজধানীর নিউমার্কেটের অদূরে নীলক্ষেত মোড়ের চারপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে আছে। একটি বাসে মাত্র পাঁচজন যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা যায়। একপাশে একজন মধ্যবয়সী নারী ছোট্ট একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে বসে আছেন। আরেক পাশে পাশাপাশি সিটে বসে আছেন একজন বৃদ্ধ ও একজন মধ্যবয়সী ভদ্রলোক। তাদের সামনে একা বসে এক তরুণী মোবাইল ফোনে কাকে যেন বলছিলেন, ‌‘রাত প্রায় দশটা বাজতে চলল। কখন যে সড়ক অবরোধমুক্ত হবে? উত্তরা পৌঁছাতে কয়টা বাজে আল্লাহই জানেন।’

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ওই তরুণী জানান, আজিমপুর থেকে উত্তরার বাসায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছিলেন। নীলক্ষেত মোড়ে আসতেই শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে বাস থেমে যায়। টাকা খরচ করে টিকিট কেটে ফেলায় কখন রাস্তা অবরোধমুক্ত হবে এবং বাসটি উত্তরা পর্যন্ত যাবে, সে অপেক্ষা করছেন।

পেছন থেকে আরেক বৃদ্ধ বললেন, ‘আবার কোথায় গিয়ে বাস ধরব, রাস্তাঘাট ভালো করে চিনি না, এ জন্য বসে আছি।’

ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় এসব যাত্রীর বাসের ভেতর আটকে থাকার কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ।

বাসের যাত্রীদের মতো অন্যান্য যানবাহন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল ও রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধের কারণে চারদিকে আটকা পড়েন।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নীলক্ষেত মোড়ে প্রথমে মানববন্ধন করলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা চারদিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে রাস্তায় আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। অধিকাংশ গণপরিবহনের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যারা এ পথে এসেছেন, তারাই বেশি বিপদে পড়েছেন। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় তাদের রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।

অবশেষে রাত সোয়া দশটার দিকে শিক্ষার্থীরা আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করে আগামীকাল সকাল থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার  / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে