প্রকাশিত : ১০ মার্চ, ২০২১ ১২:১৯

ক্রাশ প্রোগ্রামে মশা কিছুটা কমেছে, দাবি আতিকের

অনলাইন ডেস্ক
ক্রাশ প্রোগ্রামে মশা কিছুটা কমেছে, দাবি আতিকের

কিউলেক্স মশা নিধনে তৃতীয় দিনের মতো ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বুধবার (১০ মার্চ) সকাল নয়টায় মোহাম্মদপুরের রিং রোডে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়।

ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরুর আগে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত সোমবার (৮ মার্চ) মিরপুর এলাকা থেকে এই ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যতীত আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। এই অভিযানে এক হাজার ৪০০ কর্মী কাজ করছেন। তবে গত দুইদিন মিরপুরের যেসব এলাকায় ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়েছে, সেখানে মশার উপদ্রব কিছুটা কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কিউলেক্স মশার প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। এই মশা নোংরা পানিতে জন্মায়। তাই ডিএনসিসি এলাকার বদ্ধ জলাশয়, ফুটপাতের নিচে ড্রেনে মশক নিধনে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় মশার প্রজনন বেশি জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘গত ৮ মার্চ মিরপুরে মিল্ক ভিটা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছি। তখন ভেতরে একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে কোটি কোটি মশার লার্ভা দেখে হতাশ হয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব মশা নিধনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এভাবে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতর মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি করতে দেয়া যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানে লার্ভা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।’

মেয়র আতিকুল বলেন, ‘মশা নিধনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য আমাদের আরও আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। ফুটপাতের নিচে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেখানে একটি টেকনিক্যাল ভুল আছে। ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কীটতত্ত্ববিদদেরকে রাখতে হবে। কিভাবে ফুটপাতের নিচে ড্রেন তৈরি করলে একই সঙ্গে পানি অপসারণ হবে আবার মশার প্রজননও যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখব এই ১০ দিনের অভিযান শেষে কী ফল দাঁড়ায়। থার্ড পার্টির কীটতত্ত্ববিদরা আমাকে জানাবে কী কী ভুল হয়েছে। আমি ভুলগুলো আপনাদেরকে জানাবো। এখন আমরা কীটনাশকের পরিমাণ (ডোজিং) নিয়ে চিন্তা করছি। অনেক ক্ষেত্রে মশা নিমূল হচ্ছে না। ডোজিং বাড়ানো যায় কি-না সে বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে কথা বলছি। এই অভিযান শেষ হলে মশক নিধন কর্মীদেরকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার  / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে