প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২১ ১৫:২৩

মিথ্যা বলায় পুরস্কার থাকলে মির্জা ফখরুল পেতেন : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
মিথ্যা বলায় পুরস্কার থাকলে মির্জা ফখরুল পেতেন : তথ্যমন্ত্রী

মিথ্যা বলার জন্য কোনো পুরস্কার থাকলে তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য কৌতুকবোধ করি- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় দু’টি বিষয় থাকে। এর একটি হচ্ছে- প্রচুর মিথ্যায় ভরপুর। তিনি অবলীলায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে মিথ্যা কথা বলেন। সেজন্য তাকে অনেকে ভিন্ন নামও ডাকেন, আমি সেটি বলতে চাই না। তার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, মিথ্যা বলায় যদি কোনো পুরস্কার দেয়া যেত তাহলে সেটা মির্জা ফখরুল সাহেব পেতেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ফখরুল) আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে এ কথা বলে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা ঠিক নয়। রাজনীতিতে সমালোচনা হবে। আমাদের রাজনীনৈতিক কর্মকান্ডে বা সরকারের সমালোচনা হতে পারে। আশা করি ব্যক্তিগত সমালোচনা করবেন না। উনি কৌতুক করেন- আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে। অথচ উনার কথায় সারা দেশবাসী কৌতুক করে।’

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখুন আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাস করি না। জনগণ আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে দেশ পরিচালনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গত ১২ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছেন। সে কারণেই আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সবকিছুতেই স্বয়ংসম্পূর্ণ।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন- বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না। সেই লক্ষ্যে তিনি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। করোনাকালে তিনি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন- মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যার ডাকে সাড়া দিয়ে করোনার শুরু থেকে মানুষের পাশে থেকেছেন। সে কারণে অনেক কম মত্যু হয়েছে। অনেক সংসদ সদস্য জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তিনজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মন্ত্রীসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণের জন্য কাজ না করে একটি গোষ্ঠী দেশে গুজব রটাচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, করোনা নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়িয়েছে। তবে শুরু থেকেই জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা করোনাকালে জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি বরং অপরাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। সরকার দলের যেমন জনগণের জন্য দায়বদ্ধতা থাকে, বিরোধীদলেরও তেমন দায়বদ্ধতা রয়েছে, দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব তারা পালন না করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে, গুজব রটিয়েছে।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে