প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২১ ১১:৩১

মশার উপদ্রব ঠেকাতে চবি শিক্ষকদের সহযোগিতা চান চসিক মেয়র

অনলাইন ডেস্ক
মশার উপদ্রব ঠেকাতে চবি শিক্ষকদের সহযোগিতা চান চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম নগরে বসবাস করেন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। এই শহরের মশা নিধনের জন্য চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের নভেম্বরে কেনা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার ওষুধ। এছাড়া ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করে কেনা হয়েছে ফগার মেশিনও। কিন্তু এতকিছুর পরও চট্টগ্রামে মশার উৎপাত যেন কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। দিন দিন মশার অত্যাচারে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। বিশেষ করে বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্তের মানুষ মশা নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

চসিকের নতুন মেয়র এম রেজাউল করিম দায়িত্ব নিয়েই কাজ শুরু করেছেন মশক নিধনে। মশার জন্য প্রয়োগ করা এই ওষুধ নিয়ে সন্দেহের বীজ ঢুকেছে তার মনে। এজন্য একটি টিমকে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো সাফল্য আসেনি।

এর আগে গত বছর ওষুধ ছিটানোর পরও মশার উৎপাত না কমায় পরীক্ষার জন্য ডিসেম্বরে বিসিএসআইআর (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ) গবেষণাগারে লার্ভিসাইড (মশার ডিম ধ্বংসকারী ওষুধ) এবং এডালটিসাইড (পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী) পাঠায় চসিক কর্তৃপক্ষ। তবে সে সময় সংস্থাটি চসিককে জানায়, মশার ওষুধের গুণগত মান তাদের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় না।

তাই এবার রেজাউল করিম এই কার্যক্রমে সহযোগিতা চাইলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল শিক্ষকের। রোববার (১৪ মার্চ) মেয়রের আমন্ত্রণে চসিক কার্যালয়ে আসেন চবি শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন চবির প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল ও কাজী নুর সোহাত।

এ সময় শিক্ষকদের উদ্দেশে চসিক মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রয়োগ করা ওষুধ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ওষুধ মশক নিধনে খুব বেশি কাজে আসছে না। তাই কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করলে মশা ঠেকানো যাবে তা নিয়ে গবেষণা করার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

চবি শিক্ষকদলের নেতৃত্বে থাকা ড. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘চসিক মেয়রের আমন্ত্রণ ও চবি উপাচার্যের নির্দেশে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম মশা নিধনে কাজ করার জন্য চসিক কার্যালয়ে এসেছি। মেয়রের আগ্রহে আমরা বর্তমানে প্রয়োগ করা ওষুধ নিয়ে গবেষণা করব। এই ওষুধে কোনো সমস্যা আছে কি না তা দেখে, নতুন কীভাবে ওষুধ প্রয়োগ করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে চসিকে মশা নিধনে কাজ করছে ১৫০ জন জন স্প্রেম্যান। আবার তাদের হাতে আছে উন্নতমানের ১৬৫টি ফগার মেশিন ও ৪২০টি সাধারণ স্প্রে মেশিন। চলতি বছরের শুরুতে মশকনিধন কর্মসূচির আওতায় নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৪০০ লিটার লার্ভিসাইড এবং ৬০০ লিটার এডালটিসাইড ছিটানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে