প্রকাশিত : ১ এপ্রিল, ২০২১ ১২:১৮

ভারতের বৃত্তি পাচ্ছেন ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারী

অনলাইন ডেস্ক
ভারতের বৃত্তি পাচ্ছেন ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারী

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দেয় ভারত সরকার। এ বছর দুই হাজার শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের এক অনন্য ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার রয়েছে। আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং ভৌগোলিক উপাদানের ভিত্তিতে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং জনগণের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ মহামারিকালেও এই বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতি ভারত সরকার ও জনগণের অন্তর্নিহিত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করেছিল। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি হিসেবে দেয়া হয়েছিল।

২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হবে। উভয় প্রকল্পের জন্য ভারত সরকার ৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছেন এবং এ লক্ষ্যে ৩৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গুলশান শাখা আজ থেকে সরাসরি বৃত্তির টাকা হস্তান্তর শুরু করবে।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে