প্রকাশিত : ৪ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:৩৬

জাটকা সংরক্ষণ করা গেলে ইলিশের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে : রাষ্ট্রপতি

অনলাইন ডেস্ক
জাটকা সংরক্ষণ করা গেলে ইলিশের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‌‘জাতীয় মাছ ইলিশ আবহমানকাল থেকেই বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে অনন্য এই ইলিশ যুগ যুগ ধরে বাঙালির রসনা বিলাসে এবং সুস্থ-সবল ও মেধাবী জাতি গঠনে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। দেশের মানুষের আমিষের যোগান, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা সার্বিক অর্থনীতিতে একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বাধিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় মোহনা ইলিশের প্রাকৃতিক বিচরণক্ষেত্র। দীর্ঘ অভিপ্রয়াণের পর পোনা ইলিশ তথা জাটকা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নদীতে বিচরণ করে পরিণত ইলিশে রূপান্তরিত হয়। তাই জাটকা সংরক্ষণ করা গেলে ইলিশের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন একটি কার্যকর পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।’

৪-১০ এপ্রিল পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২১’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষে শপথ নেব, জাটকা নয় ইলিশ খাব’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে জাটকা সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে ইলিশের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, মৎস্যজীবী ও জেলে সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সম্মিলিত প্রয়াসে গণমুখী এ কার্যক্রম সফল ও সার্থক হয়ে উঠবে, মুজিবশতবর্ষে এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।’

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে