ড্যাপ : অপেক্ষা চূড়ান্ত অনুমোদনের

রাজধানী ঢাকাকে বসবাসযোগ্য, পরিবেশবান্ধব ও সুশৃঙ্খল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ণের কাজ করোনায় ফের বাধার মুখে পড়েছে। চলতি বছর মার্চ মাসে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে দুই দফায় ১৬ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর মধ্যে থেমে নেই ড্যাপ প্রণয়নের কাজ।
ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের প্রধান পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এন্ড (দিক) থেকে কাজ শেষ। একটা স্টেকহোল্ডার মিটিং করবো, একটা ন্যাশনাল সেমিনার করবো। তারপরে সেটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে যাবে। কিন্তু করোনার যে অবস্থা, সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক নাও হতে পারে।’
করোনার কারণে ড্যাপের অনুমোদন মিলতে দেরি হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তিনি আমাদের ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক। আরও একটা মিটিং হবার কথা ছিল, কিন্তু করোনা শুরু হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজানের ঈদের পর অনুমোদন নিতে সব ধরনের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনে সব এলোমেলো হয়ে গেছে। চলতি মাসের ৮ তারিখ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্কশপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আনফরচুনেটলি আমরা ওয়ার্কশপটা করতে পারিনি। ওয়ার্কশপ আর ন্যাশনাল সেমিনার করতে পারলে আমরা মিনিস্ট্রিতে পাঠাবো। আমাদের এন্ড থেকে কাজ শেষ। আমরা করে ফেলবো।’
এদিকে ড্যাপ প্রণয়নে রিহ্যাব ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভলপারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) সুপারিশসমূহ পর্যালোচনা করার জন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় ঢাকা সেজেছে অগোছালোভাবে। এজন্য নগরীর আবাসিক, বাণিজ্যিক, মিশ্র বা বিশেষ বৈশিষ্ট্য এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে নতুন ড্যাপে।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীকে সাজাতে ২০০৪ সালে ড্যাপ প্রণয়ণের কাজ শুরু রাজউক। নানা জটিলতা শেষে ২০১০ সালের ২২ জুন ড্যাপের চূড়ান্ত গেজেট অনুমোদন পায়।
রাজধানীর এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার জন্য প্রণীত এ মাস্টারপ্ল্যানের সময়কাল ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিদ্যমান ড্যাপের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার আগে রাজউক ২০১৬-২০৩৫ সাল পর্যন্ত বা ২০ বছরের জন্য নতুন মাস্টারপ্ল্যান বা ড্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ড্যাপ প্রণয়ণের কাজ চলছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন