প্রকাশিত : ১১ মে, ২০২১ ১৪:০৬

শুধু গাছ নিধনই করব না, ১০ গুণ বেশি লাগাবো : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
শুধু গাছ নিধনই করব না, ১০ গুণ বেশি লাগাবো : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেবল গাছ নিধনই নয়, কাটা গাছের ১০ গুণ বৃক্ষ রোপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মঙ্গলবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সমালোচনার মুখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে এখন অন্য কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও ৫০টি গাছ কাটা হতে পারে। তবে নির্দেশনা দিয়েছি সরেজমিনে দেখে যত কম গাছ কাটা যায় সেই ব্যবস্থা করতে। কারো অবহেলাজনিত কারণে উদ্যানের গাছ কাটা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এত বড় এলকায় এত মানুষের সমাগম হয়, তাতে কোনো টয়লেট ফ্যাসিলিটিজ এবং রিফ্রেশমেন্টের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পরিবারসহ দর্শনার্থীরা উদ্যানে যাতে ভ্রমণ করতে পারে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার পাশাপাশি নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিবেশে কয়েক ঘণ্টা সময় কাটাতে পারে তার সব ব্যবস্থা এখানে করা হচ্ছে।’

প্রতিদিন নিজস্ব পরিবহনে ঢাকা ও তার আশেপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই হাজার শিশুকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এনে তাদের ইতিহাস জানোনোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আন্তর্জাতিক মানের করে তৈরি করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দৃষ্টিনন্দন করার জন্য পরিকল্পনা করেছি। জাতিকে আগে অবহিত করতে পারিনি বলে এই ভুল বোঝাবুঝির জায়গা তৈরি হয়েছে। এজন্য আমরা দুঃখিত। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আমি মনে করি সর্বস্তরের মানুষ খুশি হবেন। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিদিন ৫০ হাজার মানুষ আসতে পারবে। সাতটি ফুড কিয়স্কে দাঁড়িয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।’

গাছগুলো রেখেই কেন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নে মোজাম্মেল বলেন, ‘আর্কিটেকদের বলেছি। সরেজমিনে গিয়ে আমি দেখিনি, আজকে (মঙ্গলবার) গিয়ে দেখব, কতটুকু মিনিমাইজ করা যায়। পৃথিবীর কোথাও গাছ কাটায় নিষেধ করা থাকে না, কিছু নিয়মনীতি থাকে। কোর্টের থেকে বড় হলো পার্লামেন্ট, সেখানে এ বিষয়ে আইন পাস হয়েছে, সেই আইন অনুযায়ী আমরা কাজটি করছি। আমরা আদালতের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে