প্রকাশিত : ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:০৭

ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর, স্ত্রীর বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশের আদেশ

অনলাইন ডেস্ক
ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর, স্ত্রীর বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশের আদেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই মামলার আরেক পলাতক আসামি ও প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণকে হাজির হওয়ার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এসব আদেশ দেন।

দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদুল হক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় গত ২৬ জুলাই প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ১ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণকে হাজির হওয়ার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি হয়।

দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সাল থেকে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ করা হলে একই বছরের জুন মাসে তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকিকে। এতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়াও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে