প্রকাশিত : ৪ জানুয়ারী, ২০২২ ১৩:৫০

লঞ্চে আগুন: মালিক-মাস্টার-সুকানি-চালককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

অনলাইন ডেস্ক
লঞ্চে আগুন: মালিক-মাস্টার-সুকানি-চালককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লেগে হতাহতের ঘটনায় গঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর কাছে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. তোফায়েল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রতিবেদনে এই দুর্ঘটনার জন্য কাদেরকে দায়ী করা হয়েছে- জানতে চাইলে তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদনটি গত রাতে জমা দিয়েছি। তাই এটির বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। এটি অফিসিয়ালি প্রকাশ হওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমে যে সব বিষয় এসেছে, বলতে গেলে সেগুলোই প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে।’

তবে তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন থেকেই লঞ্চে আগুন লেগেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে লঞ্চের চারজন মালিক, দুজন ইনচার্জ মাস্টার, সুকানি, দুজন ইঞ্জিন চালক ও লঞ্চের গ্রিজারকে (চালকের সহকারী) সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ থাকার পরও লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সদরঘাটের সার্ভেয়ার ও ইন্সপেক্টর এবং লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণসহ বিভিন্ন বিধিবিধান লঙ্ঘনের জন্য ইঞ্জিন পরিবর্তন করা ডকইয়ার্ডের মালিককে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাউকে দায়ী করেনি কমিটি।

প্রতিবেদনে টিকিট কেটে যাত্রী তোলা, লঞ্চের রোটেশন প্রথা বাতিলসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৪৮ জন।

এই দুর্ঘটনা তদন্তে ২৪ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ) তোফায়েল ইসলামকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদন দাখিলে কমিটিকে তিন কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় আরও তিন কর্মদিবস বাড়ানো হয়।

তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন- বরিশাল অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন, ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার তাইফুর রহমান ভূইয়া, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশিদ। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে