প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারী, ২০২২ ১৪:৩৩

জাতীয়করণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান

অনলাইন ডেস্ক
জাতীয়করণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’। কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত আছেন।

তাদের দাবি, দ্রুত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা। তাদের এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে কর্মসূচি থেকে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। কর্মসূচি থেকে তাদের ‘জাতীয়করণ চাই’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষকরা বলছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন ও একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দৃশ্যমান। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখা হলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনো দেওয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে সেই টাকা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

মহাজোটের সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৩ সালে ৭৩ দিনের শিক্ষক আন্দোলনের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন ১৫০ টাকার উন্নীতকরণসহ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেন। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে দেবো। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি পূরণ হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে আরও ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। তাছাড়া বর্তমান সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৮ সালের জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দিয়ে আসছে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত আছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের আহ্বায়ক মো. মাঈন উদ্দিন, মহাজোটের শিক্ষক নেতাদের মধ্যে মো. শাহ্ আলম, তালুকদার আব্দুল মন্নাফ, মো. আফজলুর রশিদ, অধ্যক্ষ আফজল হোসেন, বেনী মাধব দেবনাথ প্রমুখ।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে