স্বস্তি নিয়েই ট্রেনে চেপে ঢাকায় ফিরছে মানুষ
ঈদের লম্বা ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষেরা। বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত ছিলো চোখে পড়ার মতো। ফেরিঘাটে চাপ বেড়েছে। মহাসড়কেও দেখা গেছে গাড়ির চাপ।
কর্মজীবী এসব মানুষের ফিরতি পথে সড়ক ছাড়া ট্রেন ও লঞ্চে তেমন কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। এবারের ট্রেনযোগে বাড়ি যাওয়ার পথের যাত্রাটাও ছিলো স্বাচ্ছন্দ্যের। উপচেপড়া ভিড় থাকলেও ট্রেনে সময়সূচির কোনো বিপর্যয় হয়নি।
ঈদ যাত্রায় দিনের দু’একটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। তবে যাত্রার শুরুতে কোনো ট্রেন বেশি দেরি করলে রিজার্ভ ট্রেনের মাধ্যমে বিকল্প উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে টিকিট পাওয়া নিয়ে প্রতিবারের মতোই অভিযোগ ছিলো। এছাড়া অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম নিয়েও ছিলো বিড়ম্বনা।
ফিরতি যাত্রায় প্রতিদিন ৩৭টি ট্রেন বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ঢাকা অভিমুখে আসছে। এসব ট্রেনের পাশাপাশি চলছে বিশেষ ট্রেন। বাড়ি যাওয়ার পর ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে আসাটাও স্বস্তির ছিলো বলে জানালেন আগত যাত্রীরা।
শনিবার (৭ মে) অপেক্ষা শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ ছিলো বেশি। শুক্রবার ভোর থেকেই কমলাপুরে যাত্রীদের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো। সময়মতোই ট্রেনগুলো কমলাপুর এসে পৌঁছেছে।
যাত্রীরা বলছেন, কাজ থাকায় একদিন আগেই তারা বর্তমান ঠিকানায় চলে এসেছেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে স্বস্তিতে ঢাকায় ফেরায় আনন্দিত তারা।
নাটোর থেকে ঈদ উদযাপন শেষে নাজমুল হুসাইন নিজ কর্মস্থল ঢাকায় ফিরেছেন। তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রা ছিলো স্বস্তির। তবে আশঙ্কা ছিলো ফিরতি পথে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে হয়তো। কিন্তু ফিরতি যাত্রাটাও ভালো ছিলো, সুন্দরভাবেই ঢাকায় পৌঁছাতে পেরেছি।
রাকিব হাসান সবুজ নামে অপর এক যাত্রী বলেন, আমি একটি সফটওয়ার কোম্পানিতে কর্মরত আছি। প্রতি ঈদেই বাড়ি যাওয়া হয়। এবারও গিয়েছিলাম। কয়েকজন বন্ধু মিলে টিকিট কেটেছি। ফিরতি পথের টিকিটও পেয়েছিলাম।
‘আগামীকাল যেহেতু অফিস, তাই আজই চলে এলাম। ঈদের ছুটি শেষে আরামেই ঢাকা এসেছি। পথে কোনো সমস্যা হয়নি, ট্রেন যথাসময়ই চলে এসেছে।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন