প্রকাশিত : ৭ মে, ২০২২ ১৫:৫৭

সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি সমাজ-রাষ্ট্রীয় জীবনের মূল ভিত্তি

অনলাইন ডেস্ক
সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি সমাজ-রাষ্ট্রীয় জীবনের মূল ভিত্তি

বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানের চার মূলনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের মূল ভিত্তি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ষড়যন্ত্র একাত্তর পরবর্তী সময়েও থেমে থাকেনি। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে সমন্বিত উদ্যোগে রাজেনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (৬ মে) ঢাকায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‌‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৌলবাদীদের সাম্প্রদায়িক জিহাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই নয়, আর্থিক ক্ষেত্রেও ডিজিটাল অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে কিন্তু আমেরিকার কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড আমাদের সঙ্গে মেলে না। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আর কোনো নাসিরনগর কিংবা রামুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, অপপ্রচার কিংবা গুজবের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানালে আমি আশা করছি ফেসবুকের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবো, প্রতিকার পাবো। ২০১৮ সালে ফেসবুকের সঙ্গে বার্সেলোনায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ধারাবাহিকতায় তারা নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। আগে তাদের অনুরোধ করলে কোনো কন্টেন্ট সরানোর ব্যাপারে খুব কমই সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এখন আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি। দেশে প্রায় পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর মধ্যে আনুমানিক চার লাখ একাউন্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে আমরা একটা সংগ্রাম শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে লড়াইটা চলছে তা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে চালিয়ে যেতে হবে। একাত্তরে হারিনি, এখনো হারবো না।

ওয়েবিনারের সভাপতির প্রারম্ভিক বক্তব্যে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনকালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবদেন করে বলেন, তিন দশকেরও অধিককাল পূর্বে আমরা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম তার দুটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল; ৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং স্বাধীনতাবিরোধী গণহত্যাকারীদের ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ কল্যাণ রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলা।

ওয়েবিনারে ধারণাপত্র পাঠ করেন নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী জাগরণের যুগ্ম সম্পাদক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট লেখক মারুফ রসুল। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর হিউম্যানিটি তুরস্ক সাধারণ সম্পাদক লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, সর্ব ইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সভাপতি সমাজকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, সুইডেনে অবস্থানকারী নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ও জাগরণের যুগ্ম সম্পাদক লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট লেখক সুইজারল্যান্ড প্রবাসী অমি রহমান পিয়াল, জাগরণ হিন্দি বিভাগের সম্পাদক ভারতের সমাজকর্মী তাপস দাস, ভারত থেকে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আইনজীবী সালমান আখতার, নির্মূল কমিটির আইটি সেল সভাপতি শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, কলামিস্ট ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সমাজকর্মী লীনা পারভীন ও নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির মিঞা।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে