প্রকাশিত : ১১ মে, ২০২২ ১৭:১৮

ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার সুফল মিলবে দুই বছরের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক
ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার সুফল মিলবে দুই বছরের মধ্যে

দেশের আট বিভাগে ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করতে একযোগে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের মানুষ এ ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার সুফল পাবেন।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান। ঠিকাদার নিয়োগের পাশাপাশি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ এবং ইমেজ ক্লাসিফিকেশনের জন্য পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুমোদিত প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রকল্প অসাধারণ। সেটি হলো- ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশে জায়গা জমি নিয়ে যেগুলোর কাগজপত্র নেই, সেগুলো নিয়ে অনেক মামলা মোকাদ্দমায় যেতে হয়। সেই মামলা মোকাদ্দমা সহজে শেষ হয় না। আমরা বিশ্বাস করি, সেটি থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমির কাজগুলো সব ডিজিটালাইজড হবে। দেখা যাবে, সবকিছুই এর আওতায় চলে আসবে। এটি খুব ভালো কাজ, দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর। তাই এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, চার বছর মেয়াদি প্রকল্পের দুই বছর ইতোমধ্যে অতিক্রম করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আশা করছি, আগামী দুই বছরের মধ্যে জনগণের সুফল পাবে। ঘরে বসেই ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে পারবেন। ফলে ঘাটে ঘাটে দালাল বা অন্যান্য মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে।

রংপুর বিভাগে ১৩ হাজার ৩০৪টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৬৭০ টাকায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে রাজশাহী বিভাগে ১৭ হাজার ৬৪১টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ১৭ কোটি এক লাখ ৫০ হাজার ৯৯৪ টাকায় একই প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। খুলনা বিভাগে ৪২ হাজার ১৭১টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ২৭ কোটি ৯৪ লাখ ২৭ হাজার ১৩০ টাকায় একই প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ হাজার ৮৯৮টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮৯৭ টাকায় দেশ উপদেশ লিমিটেড ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিসকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সিলেট বিভাগের ১০ হাজার ২০৪টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণের ১৪ কোটি ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৪০ টাকায় ডাটা এক্সপোর্ট ও মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনের জয়েনভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ঢাকা বিভাগে ১৮ হাজার ৭৭৯টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ১১ হাজার ৫০৫ টাকায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং ও সিনেসিস আইটির জয়েন ভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৭৯৩টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ১২ কোটি ৩৯ লাখ এক হাজার ৩৯২ টাকায় একই জয়েনভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ হাজার ৬২২টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ২৩ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৪ টাকায় বেটস কনসালটিং ও মেগাটেক জিএনবিডির জয়েন ভেঞ্চারকে নিয়োগ করা হয়।

এছাড়া ডাটাবেইজ ম্যানেজমেন্ট ও ভিজ্যুয়ালাইজেশেনের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে দুই কোটি সাত লাখ ৭৮ হাজার ৪০৯ টাকায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ও সিনেসিস আইটির জয়েনভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এছাড়া সমগ্র দেশের স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ এবং ইমেজ ক্লাসিফিকেশনের জন্য ৬৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ছয় টাকায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসকে নিয়োগ করা হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে